চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার পথে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বার্সেলোনার বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছিল ইন্তের মিলানো। তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে যেন ফুটবল খেলাটাই ভুলে গিয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ফরাসি ক্লাব পারি সাঁ জার্মেইয়ের কাছে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল ৫-০ ব্যবধানে।
ওই ঘটনার জেরে কোচের পদ থেকে সরে গেছেন সিমিওনে ইনজাগি। নতুন কোচ হিসেবে ইন্তেরের ডাগআউট সামলানোর দায়িত্ব পান ক্রিস্তিয়ান চিভু। তবে ৪৪ বছর বয়সী রোমানিয়ান কোচের অধীনে শুরুটা ভালো হয়নি ইন্তেরের। ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ বুধবার সকালে মেক্সিকান ক্লাব মন্তেরির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে মিলানের ক্লাবটি।
ইন্তের যে ১ পয়েন্ট পেয়েছে, সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে পারেন চিভু। ম্যাচের ২৫ মিনিটে সের্হিও রামোসের গোলে আগে লিড (১-০) পেয়েছিল মেক্সিকান ক্লাব। বিরতির ৩ মিনিট আগে ইন্তেরকে সমতায় ফেরান লাওতারো মার্তিনেস। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দুদল।
ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ৯০ হাজার ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট রোস বোলে উপস্থিত ৪০ হাজারের কিছু বেশি দর্শকের সামনে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ইন্তেরই (৬১%)। মন্তেরির ১১ শটের বিপরীতে শটও বেশি নিয়েছিল ইন্তের (১৫টি)। কিন্তু কার্যকর আক্রমণ খুব একটা করতে পারেননি মার্তিনেস-সেবাস্তিয়ানো এস্পোসিতোরা।
ম্যাচের শুরু থেকে মন্তেরির অর্ধে বল থেকেছে বেশিরভাগ সময়। তবে রামোস-মেদিনা-গুসমানদের নিয়ে গঠিত মেক্সিকান ক্লাবটির জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি ইন্তের। উল্টো ম্যাচের ২৫ মিনিটে অলিভিয়ের তোরেসের কর্নারে দারুণ এক হেডে ইয়ান সোমারকে পরাস্ত করেন রামোস।
গোল হজম করে আড়মোড়া ভাঙে ইন্তেরের। আক্রমণের ধারও কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। এর সুবাদে ম্যাচেও ফেরে চিভুর দল। ম্যাচের ৪২ মিনিটে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে ক্রিস্তিয়ান আসলানির বুদ্ধিদীপ্ত চিপ ফ্রি-কিকে বল পান কার্লোস অগুস্তো। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার বল বাড়ান তুলনামূলক সুবিধাজনক জায়গায় থাকা মার্তিনেসকে। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের কাজ ছিল শুধু বলে পা লাগানো। সেটাতে ভুল করেননি মার্তিনেস। ম্যাচে ফিরে (১-১) বিরতিতে যায় চিভুর দল।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা উপহার দিতে থাকে দুদল। পুরো সময় জুড়ে মন্তেরির বক্সের বাইরে ঘুরঘুর করেছে দুদলের খেলোয়াড়রা। কোনোভাবেই আক্রমণে উঠতে পারছিলেন না মার্তিনেসরা। উল্টো শেষ দিকে প্রতি-আক্রমণে বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করে মন্তেরি। বিশেষ করে যোগ করা সময়ে নেলসন দেওসা সতীর্থকে না দিয়ে নিজেই বক্সের বাইরে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন। আরও একবার গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার। তবে বাস্তোনির কড়া পাহাড়ায় ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। দেওসার শট পোস্ট ঘেঁষে সাইডনেটে লাগে। তাতে অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারার স্বস্তি যোগ হয় ইন্তের সমর্থকদের মনে!