যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি এনজিও শুক্রবার জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ কমপক্ষে ৬৫৭ জন নিহত হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সি (এইচআরএএনএ) জানিয়েছে, ১৩ জুন থেকে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশজুড়ে কমপক্ষে ২৬৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
এদের মধ্যে নিহত ২০ জনেরও বেশি শিশুর পরিচয় যাচাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা, যাদের বেশিরভাগই তেহরানে।
এছাড়া সেনাবাহিনীর ১৬৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
মোট মৃতের সংখ্যা ২৩০ জন রয়েছে যারা এইচআরএনএ নির্ধারণ করতে পারেনি যে তারা বেসামরিক নাগরিক বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইরানের ৩১টি প্রদেশের মধ্যে ২১টিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এইচআরএএনএ হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট এনজিওর অংশ, যা ২০০৫ সালে ইরানের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু পরে ইরানী কর্তৃপক্ষের দমনের মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়।
এটি প্রতিদিন কয়েক ডজন প্রতিবেদন প্রকাশ করে, ইরানের অভ্যন্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রূপরেখা প্রকাশ করে।
ইসরায়েল বলেছে, তাদের অভিযানের লক্ষ্য ছিল তেহরানকে পারমাণবিক বোমা অর্জন থেকে বিরত রাখা, যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ইরান অস্বীকার করে আসছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ রোববার জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছে। তারপর থেকে কোনও আপডেট টোল জারি করেনি তারা।
এর জবাবে শুরু হওয়া ইরানি হামলায় ইসরায়েলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও শত শত আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
