যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার বলেছে যে তারা গাজা উপত্যকায় বিতর্কিত ইসরায়েল-সমর্থিত ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য তার প্রথম সরাসরি তহবিল অনুমোদন করেছে এবং অন্যান্য দেশকেও এটি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনকে ৩০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল অনুমোদন করেছি। এবং আমরা অন্যান্য দেশকেও জিএইচএফ, গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন এবং এর গুরুত্বপূর্ণ কাজকে সমর্থন করার আহ্বান জানাচ্ছি,” স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র টমি পিগট সাংবাদিকদের বলেছেন।
মার্চ থেকে শুরু করে ইসরায়েল দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ব্যাপক হামলার পর থেকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ব্যাপকভাবে সমতল হয়ে পড়া অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দেখা দেয়।
গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন, ঘেরে ইস্রায়েলি সেনাদের সাথে সশস্ত্র মার্কিন ঠিকাদারদের সমর্থিত, মে মাসের শেষের দিকে অপারেশন শুরু করে যা বিশৃঙ্খল দৃশ্য, মৃত্যু এবং নিরপেক্ষতার উদ্বেগের দ্বারা বিঘ্নিত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মে মাসের শেষ দিক থেকে ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে অপ্রতুল ত্রাণের সন্ধানে প্রায় ৫৫০ জন নিহত হয়েছে।
জিএইচএফ তাদের ত্রাণ কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটার কথা অস্বীকার করেছে।
প্রধান ত্রাণ গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারী গোষ্ঠীর সাথে কাজ করতে অস্বীকার করে বলেছে যে এটি সৈন্যদের সাথে সরবরাহের সমন্বয় করে মৌলিক মানবিক নীতি লঙ্ঘন করেছে।
অভিযানের সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পিগট বলেন, গ্রুপটি এখন পর্যন্ত যে ৪ কোটি ৬০ লাখ খাবার বিতরণ করেছে তা ‘একেবারে অবিশ্বাস্য’ এবং ‘প্রশংসা করা উচিত’।
“প্রথম দিন থেকেই আমরা বলে আসছি যে আমরা সৃজনশীল সমাধানের জন্য উন্মুক্ত যা গাজায় নিরাপদে সহায়তা প্রদান করে এবং ইস্রায়েলকে রক্ষা করে,” পিগট বলেছিলেন।
তিনি বলেন, জিএইচএফকে এই আর্থিক সহায়তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ‘এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার’ অংশ।
