বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে বাংলাদেশ এখন বাংলাদেশিদের ইরান ছাড়া সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভূমি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হলো ১০০ সহকারী কমিশনার রোববার থেকে হাইকোর্টের ৪৯ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ আলোচনা ইতিবাচক, জুলাই মাসে জাতীয় সনদের আশা করছি: আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফর ‘অত্যন্ত সফল হয়েছে’ : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম চালু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে ঐকমত্য সৃষ্টি: সালাহউদ্দিন রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যাপারে সবাই একমত: আমীর খসরু ‘ইরান-ইসরাইল সংঘাত পর্যবেক্ষণ করছে সরকার, জ্বালানির দাম বাড়ছেনা’ দিনাজপুরে পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ব্রাজিল রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের নির্দেশ মশার উপদ্রব, ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিউলিপসহ রাজউকের ৯ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব তলব

[t4b-ticker]

বাজার স্থিতিশীল,কমেছে ডিমের দাম

Reporter Name / ১৪ Time View
Update : বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
সবজির বাজার স্থিতিশীল,কমেছে ডিমের দাম

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে রাজধানীর বাজারে সবজি ও ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে যেসব সবজি মৌসুমী নয়, সেগুলোর বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, হাতিরঝিল, ঝিগাতলা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মুগদাসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় রাজধানীতে মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকলেও গত দুই তিন সপ্তাহ ধরে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ফলে সবজির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কয়েকটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায়, সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১৬০-১৬৫ টাকায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হলেও তা কমে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও গরু, খাসির মাংসের দাম আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে।

সবজির বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ টাকা, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া যেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি, সেই তালিকায় বেগুন প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, মূলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুরমুখি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা, গাজর প্রতি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং কচুরলতি প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসে বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে তুলনামূলক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। এছাড়া বাকি সবকিছুর দামই বাড়তি যাচ্ছে। কিছুদিন ছাত্রদের বাজার মনিটরিং করতে দেখেছি তখন বাজারে অনেক কিছুরই দাম কিছুটা কম ছিল। এখন আবার বাজারে সব পণ্যের দাম যে যার মতো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বাজার মনিটরিং বাড়ানোসহ অসাধু সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার কাজ করতে হবে। আমারা সাধারণ মানুষরা চাই সব পণ্যের মূল্য আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকুক।

বাজারে সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, গত কয়েক মাসের তুলনায় বিগত ২/৩ সপ্তাহ ধরে সবজির দাম কিছুটা কম যাচ্ছে। তবে ২/৪ আইটেমের সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার নতুন করে এসব সবজি উঠতে শুরু করলে এগুলোরও দাম কমে যাবে।

মুরগির বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, লাল কর্ক জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায়। এ ছাড়া গরুর মাংস বাজারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়।

ডিমের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ১৬০-১৬৫ টাকায় প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হলেও আজ ১০ টাকা কমে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, শুকনো মরিচ দেশি ৪০০ টাকা, আর আমদানি করা মরিচ ৫০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। হলুদ প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭২ টাকায়, আটাশ চাল ৫৭-৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬-৫৮ টাকা কেজি। এছাড়া জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৭১-৭৩ টাকা, কাটারি নাজির ৭৭-৭৯ টাকায়, কাটারি আতপ চাল ৬৬-৬৮ টাকা কেজি, চিনিগুড়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৭-১১৫ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৩০-২৫০ টাকায়, চাষের কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৮০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ২৮০-৩৫০ টাকায়, কাতল প্রতি কেজি ৩২০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাপিলা প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকায়, গুলশা টেংরা প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকায়, টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৪২০-৪৮০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে।

বাজারে মাছে দাম বাড়তি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা আব্দুল গফুর মিয়া বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ অনেকটা কম। এর মূল কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় মাছ চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। কারওয়ান বাজার থেকে মাছ কিনে রামপুরার স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি করেন এই বিক্রেতা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

More News Of This Category
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30