ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা শুরুর ব্যাপারে ইরান কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আরাগচি বলেন, তেহরান যখন ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলাকে সমর্থন করে এবং শেষ পর্যন্ত ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সরাসরি বিমান হামলা চালায় তখন তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত ছিল।
“সাম্প্রতিক আলোচনায় তারা আমাদের জাতির অধিকার ত্যাগ করার জন্য প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছে। যখন কিছু নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল, তখন তারা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল এবং হামলা চালানোর জন্য অপরাধী ইহুদিবাদী (ইস্রায়েলি) সরকারকে প্ররোচিত করেছিল।
আরাগচি আরও বলেন, আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এমন একটি অভিজ্ঞতা যা আলোচনার বিষয়ে ইরানের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তকে রূপ দেবে।
তিনি বলেন, ‘তা সত্ত্বেও কূটনীতি চলছে এবং আমি বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠকের যে দাবি করেছেন তার জবাবে আরাগচি তা নাকচ করে দেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো পরোক্ষ আলোচনার কোনো আয়োজন করা হয়নি। তাদের বক্তব্য স্ববিরোধিতায় ভরা,” রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন তিনি।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৩ জুন ইরানের সামরিক, পরমাণু ও বেসামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৬০৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হওয়ার পর ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাত শুরু হয়।
জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তেহরান ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যাতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৩,৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
গত ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় যুদ্ধবিরতির কারণে সংঘাতের অবসান ঘটে।
