ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু হলো।
আজ রবিবার দুপুর ১২টার পর ট্রাইবুনালে অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এ বিষয়ে শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন।
মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে জুলাই আগস্টজুড়ে সারাদেশে যে গণহত্যা হয় তাতে শেখ হাসিনাকে প্রধান নির্দেশদাতার দায়ে গেল ১২ মে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে তদন্ত সংস্থা।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ১৪ আগস্ট সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয়। সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছর ১৪ অক্টোবর। ছয় মাস ২৮ দিনে তদন্ত শেষ করে গত ১২ মে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
চিফ প্রসিকিউটরের কাছে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি বা ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনার দায়সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের নির্ধারিত তারিখ থাকলেও আজ (রবিবার) তা দাখিল করার কথা জানান চিফ প্রসিকিউটর।
জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক ডিএমপি (ঢাকা মহানগর পুলিশ) কমিশনারসহ আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ’ গত ২৫ মে দাখিলের পর আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ৩ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।