পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটির পর কর্মচঞ্চলতা ফিরেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে। তবে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত হলেও তাঁদের মধ্যে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। অফিস করতে শুরু করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও।
আজ রোববার সরেজমিনে সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, অফিসে ফিরেই সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মন্ত্রণালয়গুলোতে ফিরেছে কর্মচঞ্চলতা। সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই ফিরেছেন কাজে।
পুলিশ পুরোপুরি কাজ করছে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা মানবিক পুলিশ চাই। এজন্য মনে হচ্ছে, পুলিশ অ্যাকটিভ না। আসলে পুলিশ একদম ঠিকভাবে কাজ করছে।’
পুশ-ইন নিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘পুশ-ইন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনারকেও বলা হয়েছে, ‘আমাদের কোনো নাগরিক থেকে থাকলে নিয়ম মেনে পাঠানো হোক। কিন্তু বনে, জঙ্গলে ফেলে যাওয়া এটি গ্রহণযোগ্য না।’
রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও খুব খারাপ ঈদযাত্রা হয়নি
প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ঈদযাত্রা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ঈদের আগে দুদিন ছুটি ছিল। সময় কম ছিল। তাই ঈদের আগে সড়কে চাপ ছিল। যাওয়ার সময় যানজটটা বেশি হয়েছে। রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও খুব খারাপ যাত্রা হয়নি। তবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়াতে রাস্তায় কিছু সমস্যা হয়েছে। তা খুব বেশি নয়।
পশু কোরবানি নিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছর রাজনৈতিক কোরবানি হয়নি। সেজন্য ঈদে বড় গরু কম বিক্রি হয়েছে। ১ কোটি ২৫ লাখ পশু ছিল কোরবানির জন্য। এরমধ্যে ৯৭ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে সারা দেশে। এটা সন্তোষজনক।’
প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সন্তুষ্ট
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের আগে দুদিন ছুটি ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য ঈদযাত্রায় যানজট হয়েছে। এবার ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে খুব একটা অভিযোগ না থাকলেও গ্রামে লোডশেডিং ছিল। এই অভিযোগ ছিল।’
তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠক নিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সমস্যাই সংলাপের মধ্য দিয়ে সমাধান হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সন্তুষ্ট। কোনো রাজনৈতিক দলের এ বিষয়ে কিছু বলার থাকলে সেটা প্রধান উপদেষ্টার সাথে বলতে হবে।’
নারী নির্যাতন দমনে নীতিগত সিদ্ধান্ত
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা হলেন শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘নারী নির্যাতন দমন করতে এই সরকার দৃশ্যমান কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। যা শিগগিরই দেশের মানুষ দেখতে পাবে। এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দেশে নারী নির্যাতন কিছুটা হলেও কমবে।’
